পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-আইএলও যৌথ প্রকল্পের অধীনে তৈরি পোশাক শিল্পের সোশ্যাল ডায়ালগ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স (এসডিআইআর) এর উপর দুইদিনব্যাপী দুটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল নগরীর খুলশীর বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদান করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, পোশাক শিল্প এমন একটি শিল্প, যার ৮০ শতাংশ দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠি থেকে উঠে আসা অবহেলিত মহিলা। কিন্তু এই শিল্পের মাধ্যমে এদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতায়ন হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়েছে, সর্বোপরি দেশের শিল্পায়নে যুগান্তকারী অবদান রাখছে। তবে শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় এই শিল্পে মাঝে মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা হয়। দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে এই শিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। তিনি শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রশিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক, করোনাকালীন বিশেষ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছেন। এ জন্য তিনি বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় তৈরি পোশাক শিল্পে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মান উন্নয়নে বিজিএমইএ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ও বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. আহসানুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের ১৭টি গার্মেন্টস্্ প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজিএমইএ সূচনালগ্ন থেকে এই সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।