পোশাক শিল্পকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালেও টিকিয়ে রাখতে হলে অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি ফ্রন্ট যোদ্ধা হিসেবে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য করোনার টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
গতকাল বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর সতর্কতামূলক নির্দেশনার আলোকে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় ঋণ প্রণোদনাসহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদেরকে প্রথমবারের মত সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ ছুটির মধ্যেও কারখানা খুলে দেয়ার মত চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত এবং শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় আমাদের এ শিল্প কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসায় যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রেখেছে, এটিকে আরো কার্যকর ও চলমান রেখে করোনা চিকিৎসা সেবা আরো প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এ.এম চৌধুরী সেলিম, বিজিএমএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, প্রাক্তন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্ল্যাহ মনসুর, টপস্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবছার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প চলমান থাকাতে করোনাকালেও আমাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। তাই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য করোনার টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহ করতে তাঁরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। এছাড়া আমাদের রপ্তানির গন্তব্য দেশসমূহে যদি ফের লকডাউন শুরু হয় সেক্ষেত্রে রপ্তানি বিপর্যয়, স্টক লক, রপ্তানি আদেশ বাতিলসহ বিভিন্ন বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এবিপর্যয় মোকাবেলায় করোনার প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ঋণ প্রণোদনা দিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়ও অনুরূপ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি