পোশাক শিল্প খাতে উৎসে ভ্যাট আদায়ে নমনীয় হওয়ার জন্য ভ্যাট কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গতকাল সোমবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সংকটকালে স্থানীয় ক্রয়ের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট কর্তন থেকে পোশাক শিল্পকে অব্যাহতি দিতে বিজিএমইএ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রস্তাবনা পেশ করেছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল। তখন প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান।
এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় বহির্বিশ্বে তৈরি পোশাকের মূল্য দিন দিন কমছে। কিন্তু দেশে পোশাক শিল্পের অভ্যন্তরীণ নানাবিধ খরচ বেড়ে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত লোকসানের মধ্যেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি প্রতিপালনপূর্বক উৎপাদন কার্যক্রম সচল রেখে বিগত দিনের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, জাতীয় আর্থ-সমাজিক উন্নয়নসহ কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট উৎসে মূসক কর আদায়ে কার্যক্রম সহজিকরণ করা হবে। এ ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত উৎসে মূসক কর কর্তন বিষয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মূসক আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে বিজিএমইএর সদস্যরা সঠিকভাবে অবহিত হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।