পোশাক শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা বিজিএমইএর

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে পোশাক শিল্পে মারাত্মক রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালেও এতে তৈরি পোশাক উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। যা রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে পিছিয়ে পড়বে বলেও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণ পরবর্তীতে দেশের তৈরি পোষাক খাতে প্রচুর অর্ডার আসছে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে রপ্তানি আদেশ। কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে পণ্য উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যা বড় ধরণের সংকট তৈরি করবে। বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারণে জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয় যে, তৈরি পোষাক উৎপাদন খরচ বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির একটি চাপও তৈরি হবে। এতে এই সেক্টরে শ্রমিক অসন্তোষসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা প্রকাশ করেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নতুন করে তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও অনেকটা বাধ্য হয়ে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি খাতে প্রদত্ত ভর্তুকি হ্রাস করে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রপ্তানি বান্ধব সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ৫২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মাইলফলক স্পর্শ করার কথা স্মরণ করে বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট খাতে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামুর ঈদগড়ে লোকালয়ে বন্যহাতি
পরবর্তী নিবন্ধযে কারণে দোকানিকে হত্যা করে জিসান