একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, পোলিও মুক্ত বিশ্ব গড়তে রোটারি ক্লাবের সদস্যরা অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, রোটারি ও সহযোগী সংগঠনের কল্যাণে পৃথিবী থেকে পোলিও আজ বিলুপ্তির পথে। এটি যে পৃথিবীকে কত বড় একটি অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছে তা বলে বুঝানো কঠিন। রোটারিয়ানরা সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করেন মন্তব্য করে এম এ মালেক বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। রোটারিয়ান এবং লায়ন সদস্যরা মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করেন। পৃথিবীর দেশে দেশে লায়ন এবং রোটারিয়ানেরা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করেন, এটাই প্রকৃত মানব সেবা। বিশ্ব পোলিও দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা ৩২৮২ বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং সুগন্ধার সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এম এ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
বিশ্ব পোলিও দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের চেয়ারপার্সন সিপি আবু হাসনাত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনের উদ্বোধক ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের দুটি দেশ পাকিস্তানে দুটি ও আফগানিস্তানে পাঁচটি পোলিও রোগী আছে। আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূল করা সম্ভব হবে। পোলিওমুক্ত বিশ্ব গড়া রোটারির অঙ্গীকার। পোলিও নির্মূলে রোটারিয়ানরা স্বপ্রণোদিত হয়ে মুক্ত হস্তে দান করায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষ উপকার পাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ, ডিস্ট্রিক্ট ফাস্ট লেডি পিপি শামিনা ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট লার্নিং ফেসিলেটর পিডিজি এম এ আহাদ, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নমিনি ড. মইনুল ইসলাম মাহমুদ, ডিস্ট্রিক্ট পোলিও প্লাস কমিটির চেয়ার পিপি রইস আব্দুর রব, প্রোগ্রাম এডভাইজার পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি সিপি মোহাম্মদ শাহজাহান, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আকবর হোসেন, এক্সিকিউটিভ ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি শামসুল আলম রিপন, ইভেন্ট মেম্বার সেক্রেটারি সিপি মো. নজরুল ইসলাম নান্টু, এরিয়া ডাইরেক্টর সিপি জাহেদা আক্তার মিতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জোনাল কো অর্ডিনেটর পিপি মো. দিদারুল ইসলাম, পিপি ফখরুল আলম পাটোয়ারী বিপু, পিপি জামাল উদ্দিন আহমেদ, আয়োজক ক্লাব প্রেসিডেন্ট মরিয়ম লিজা, পিপি ফারহানা হাসনাত, পিপি তৌসিফ রেজা, পিপি সাহাদাৎ হোসেন, হোপ টিমের সদস্যবৃন্দ, হোপ প্রেসিডেন্ট বৃন্দ, রোটারেক্ট, ইন্টারেক্টসহ বিভিন্ন ক্লাবের পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।