পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফল ২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ

| বৃহস্পতিবার , ৭ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বর্ণিল আয়োজনে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফল ২০২৫ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব জহির আহাম্মদ। বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম. মজিবুর রহমান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পিএইডি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরল আনোয়ার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফুল দিয়ে অতিথিবৃন্দকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একে একে বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জহির আহাম্মদ বলেন-“জ্ঞান অর্জনই কেবল শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য নয়। সততার সাথে পড়াশোনা করে সত্যিকার অর্থে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠাই শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য। তোমরা আজ যে স্বপ্ন দেখবে, তা বাস্তবায়নের জন্যে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। এই পথচলায় তোমাদের পাশে থাকবে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।”

বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. এম. মজিবুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষা গ্রহণের স্থান। অন্যকে পরিবর্তন করার চেয়ে নিজেকে পরিবর্তন করা সহজতর। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে সেই সুযোগ দেয়। এখানে প্রতিটি পদই মানুষকে শিখতে সাহায্য করে।” এছাড়া শিক্ষার্থীদের নানাবিধ জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা কাজে নিযুক্ত হওয়ার প্রতিও জোর দেন তিনি।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পিএইডি বলেন-“চট্টগ্রামের তথা বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হল পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।” তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্যে অনেক সুযোগসুবিধা দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেন সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগায় সেজন্যে তিনি সদুপদেশ দেন। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের প্রতিও জোর দেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরল আনোয়ার বলেন, “আজকে নবাগতদের জন্যে একটি বিশেষ দিন। তোমরা তোমাদের চেষ্টা ও শ্রমে এখানে জায়গা করে নিয়েছো। ভবিষ্যতে বিশ্বের কঠিনতম প্রতিযোগিতায় নিজেদের জায়গা করে নিতে নিজস্ব সংস্কৃতি ও আচারকে প্রাধান্য দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রথম দিন থেকেই তোমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রভাষক জারিন রাফাহ চৌধুরী এবং টেক্সটাইল বিভাগের প্রভাষক সায়েদুল মোরসালিন এর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ ওবায়দুর রহমান। এছাড়া এই আয়োজনে আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর প্রকৌশলী ড. মফজল আহমদ, ব্যবসায় অধ্যয়ন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ ফসিউল আলম, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর মাইনুল হাসান চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: সেলিম হোসেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের বিভাগীয় প্রধানসহ, শিক্ষকশিক্ষিকাবৃন্দ, কর্মকর্তাকর্মচারীসহ একঝাঁক নবীন শিক্ষার্থী। দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ফোরামের আয়োজনে লোকজ ও দেশীয় গানের সাথে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারও ওড়ার পর বিমানের বোয়িংয়ে ত্রুটি
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বিদেশি রিভালবার ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এক