বাংলাদেশকে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট করেও প্রথম দিনে লিড নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রায় দেড় সেশন ব্যাট করে ৪৮ ওভারে মাত্র ৯৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে তারা। হারিয়েছে দুইটি উইকেট। আট উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের চেয়ে আর আট রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। ক্যারিবীয়দের এভাবে বেঁধে রাখার মূল কৃতিত্ব বাংলাদেশের পেসারদের। প্রায় ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মোস্তাফিজ ১২ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন। এবাদত হোসেন ১২ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন এক উইকেট। আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৯ ওভারে খরচ করেছেন ১৫ রান। ব্যাটারদের পারফরম্যান্সের কোনো ব্যাখ্যা নেই সাকিবের কাছে। তবে পেসারদের নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া না করলে বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকতো বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন পেসারদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। কিছু হাফ চান্স ছিল। সেগুলো নিলে পেসারদের জন্য দারুণ একটা দিন হতো। যেটা আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই পাইনি। পেস বিভাগ খুবই ভালো বল করেছে। জুটিতে ভালো বল করেছে। মোস্তাফিজ দারুণ ছিল। খালেদও অনেক ভালো বল করেছে নতুন বলে। এবাদত সবসময় ভালো বল করছে। তিনজনই ভালো করেছে। তিনি বলেন পেসাররা একটু দুর্ভাগা। আরও দুটি উইকেট পেলে হয়তো আমরা ভালো অবস্থানে থাকতাম। যদি ১০০ রানে ৪ উইকেট থাকতো, তাহলে পরের দিন আরও ১০০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করলে আমরা ম্যাচে থাকতাম।
তবে এখনও দুটি সুযোগ দেখছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। তিনি বলেছেন, এখানে দলের দুটি সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে ছেড়ে দিয়ে ওদের যতো ইচ্ছা রান করতে দেওয়া। তারপর আমরা সেকেন্ড ইনিংসে ব্যাট করে খেলা শেষ হয়ে গেলো। দ্বিতীয় সুযোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আরেকটা হচ্ছে আমরা চেষ্টা করলাম। যদি ওদের আড়াইশো রানের ভেতরেও অলআউট করতে পারি, তখন আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে পারলে সেটা একটা দিক। কারন শেষ ইনিংসে এখানে কী হবে, আমরা তো জানি না।