চট্টগ্রামের চোর, ছিনতাইকারী, মাদকসেবীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন সংলগ্ন চোরাই মার্কেটে গতকাল অভিযান চালিয়েছে টিম কোতোয়ালী। এ সময় বেশ কিছু চোরাই মালামাল জব্দ এবং ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে পুলিশ। অভিযানে প্রথমবারের মতো পেট্রোল কার ব্যবহৃত হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই চোরাই মার্কেট কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেট পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে।
প্রসঙ্গত: গত ১ ডিসেম্বর নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) যানবাহন বিভাগে যুক্ত হয় চারটি পেট্রোল কার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নানারকম সেবা দেবে এসব কার। গতকাল সকাল ১১টার দিকে পেট্রোল কার সহযোগে এসি কোতোয়ালী নোবেল চাকমার নেতৃত্বে এবং ওসি কোতোয়ালী মোহাম্মদ মহসীনের তত্ত্বাবধানে অভিযান চলে চোরাই মার্কেটে। এই মার্কেট নিয়ে গত ২০ নভেম্বর দৈনিক আজাদীতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে তখন বলেছিলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, মানুষকে সচেতন হতে হবে। যে মার্কেটের নাম চোরাই মার্কেট, সে মার্কেট থেকে আমি জিনিস কিনব কেন? আমরা না কিনলে মার্কেটটাতো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
গতকাল ওসি মহসীন আজাদীকে বলেন, নিউমার্কেট থেকে পুরাতন রেল স্টেশন পর্যন্ত ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকান উচ্ছেদ করার দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে এই দোকান ঘিরে কোনো অপরাধ বা অবৈধ কিছু কেনাবেচা হলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেহেতু সাধারণের অসুবিধে হচ্ছে সেহেতু চোরাই মার্কেট নামে কোনো মার্কেট কোতোয়ালী এলাকায় থাকতে দেব না। তিনি বলেন, অভিযানে চোরাই মোবাইলসহ এখানকার অনেক দোকানদার ধরা পড়েছে। আমরা আলাউদ্দিনকে ধরেছি, এর আগে জানেআলম ধরা পড়েছে, কাইয়ূম ধরা পড়েছে, আরো অনেকেই ধরা পড়েছে। কিন্তু ধরা পড়ার পর জামিনে এসে আবার একই কায়দায় ব্যবসা করছে। এই মার্কেটের কেউ কেউ পুলিশের সোর্স কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। তাতেই এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।