হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে, দি হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, কারা নেই তালিকায়? এসব সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের ফোনও ছিল আড়িপাতার লক্ষ্যবস্তু। আর যারা এই গোপন খবর ফাঁস করেছে, তাদের অন্যতম দ্য অয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারাদারাজান ও এমকে ভেন্যুও ছিলেন গোপন এই নজরদারিতে। তালিকায় দুইবার এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর নাম। এ নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে। খবর বিডিনিউজের।
ইসরায়েলে তৈরি হ্যাকিং সফটঅয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে যে হাজার হাজার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্মার্টফোনে আড়িপাতার খবর ফাঁস হয়েছে, তার মধ্য ভারতের ৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে দ্য অয়্যার।
একটি ডেটাবেইসে ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বর পাওয়ার পর বলা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের কর্তৃত্ববাদী সরকার ইসরায়েলি কোম্পানি এসএসও গ্রুপের তৈরি সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে এসব ফোনের মালিক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছিল। এই ফোন নম্বরের ডেটাবেইস বের করেছে ফ্রান্সের সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্র তা প্রকাশ করেছে।
পেগাসাস প্রজেক্ট নামে এই অনুসন্ধানে যুক্ত দ্য অয়্যার জানিয়েছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কারও কারও ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষায় পেগাসাস সফটওয়্যারের অনুপ্রবেশ নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফাঁস হওয়া তালিকায় হিন্দুস্তান টাইমস গ্রুপের অন্তত চারজন বর্তমান এবং একজন সাবেক সাংবাদিকের ফোন নম্বর ছিল। তারা হলেন হিন্দুস্তান টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক শিশির গুপ্ত, সম্পাদকীয় পাতার সম্পাদক ও সাবেক ব্যুরো প্রধান প্রশান্ত ঝাঁ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক রাহুল সিং, কংগ্রেস দলের খবরাখবর রাখার দায়িত্বে থাবা সাবেক রাজনৈতিক প্রতিবেদক রাজনৈতিক আওরঙ্গজেব নকশবন্দি এবং হিন্দুস্তান টাইমসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মিন্টের একজন প্রতিবেদক।
এছাড়া দিল্লির প্রধান গণমাধ্যমগুলোর অন্তত একজন করে সাংবাদিকের নাম পেগাসাস প্রজেক্টের তালিকায় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ইন্ডিয়ান এঙপ্রেসের সাংবাদিক হিসেবে রয়েছে শিক্ষা ও নির্বাচন কমিশন বিষয়ক প্রতিবেদক রিতিকা চোপড়া ও কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রতিবেদক মুজামিল জলিল। তালিকায় রয়েছেন প্রতিরক্ষা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংবাদ কাভার করা ইন্ডিয়া টুডের সাংবাদিক সন্দ্বীপ উন্নিথান এবং টিভি এইটিনের তদন্ত ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক মনোজ গুপ্ত।
এছাড়া দ্য হিন্দু পত্রিকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রতিবেদক বিজইতা সিংয়ের নাম তালিকায় রয়েছে। সংবাদ পোর্টাল দ্য অয়্যারে আড়িপাতার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ ভারাদারাজান ও এমকে ভেন্যু।
ফরেনসিক পরীক্ষায় তাদের ফোনে পেগাসাসের আক্রমণের নজির পাওয়া গেছে। তালিকায় কূটনীতিক সম্পাদক দেভিরুপা মিত্রের নামও আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করেছিলেন যে সাংবাদিক, রোহিনী সিংহ নামে দ্য ওয়্যারের সাংবাদিকও রয়েছেন তালিকায়।












