সারা দেশে এই প্রথম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযোজন হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ–সুবিধা সম্বলিত ‘ভ্রাম্যমাণ টিবি ভ্যান’। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ভ্যান প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে গেল উপজেলাটি। এতে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ এখন থেকে বিনামূল্যে একেবারে টিবি (যক্ষ্মা) রোগের পরীক্ষা–নিরীক্ষাসহ যাবতীয় ওষুধসহ সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। দেখতে বিশালাকার কাভার্ডভ্যানের মতো ৬ চাকার এই ‘ভ্রাম্যমাণ টিবি ভ্যান’টির আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা হয়েছে গতকাল সোমবার দুপুরে। এটির উদ্বোধন করেন জাফর আলম এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার মুজিবুর রহমান, ডা. মাহবুবুল আলমসহ (রোগ নিয়ন্ত্রক) হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। ‘ভ্রাম্যমাণ টিবি ভ্যান’ উদ্বোধন প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যপ্রধান ডা. মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ভ্যানটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে ঘুরতে থাকবে। পেকুয়ার মগনামা ঘাটের জনসমাগমস্থলেও এটি সেবা দেবে। আর রাতেও অবস্থান করবে হাসপাতালে।’
স্বাস্থ্যপ্রধান আরো বলেন, যাদের একনাগাড়ে দুই সপ্তাহ কাশি রয়েছে, তারা ভ্রাম্যমাণ এই টিবি ভ্যানে গিয়ে কফ পরীক্ষা, বুকের এঙ–রে করাতে পারবে বিনামূল্যে। পাবে ওষুধও। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই ভ্যানটিতে রয়েছে কফের জিন বা যক্ষ্মা রোগের জীবাণু শনাক্তকরণ যন্ত্র। এটির পরিচালনায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে এঙ–রে টেকনোলজিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ানও। এতে প্রথমদিনেই অসংখ্য রোগী সেবা নিয়েছেন এই ভ্যানে এসে।’ এ ব্যাপারে জাফর আলম এমপি বলেন, সারাদেশে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে পেকুয়া উপজেলাবাসীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ভ্রাম্যমাণ এই টিবি ভ্যানটি।