পেকুয়ার রাজাখালীতে রাতের আঁধারে পেট্রোল ঢেলে বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে তিন সহোদরের ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো হলো জাহেদুল ইসলাম বাবুল, রেজাউল করিম মিন্টু ও মহিউদ্দিনের।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও দমকল বাহিনীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ঘরের চারপাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে ৩টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেলে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন বাড়ির মালিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গভীর রাতে ৪/৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত ঐ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে নিজেরাই আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে করতে জনতার সাথে মিশে যায়।
তারপর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক জাহেদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “গভীর রাতে যখন আমরা ঘুমে তখন এলাকার লোকজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে চারপাশে আগুন দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। পরে বাচ্চাদের নিয়ে কোনোরকমে বাড়ি থেকে জীবনটা নিয়ে নিরাপদে বের হয়ে আসি।”
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসাছাত্রী তাসনিম সাবিহা জেরিন বলেন, “আমাদের বইপত্র, সার্টিফিকেট, পড়ার টেবিল সহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমরা কীভাবে পড়ালেখা করব জানি না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজাখালী সুন্দরী পাড়া এলাকায় গিয়ে পুড়ে যাওয়া বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”
কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু বিদ্যুতের লাইন আছে সেহেতু প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তবে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিকদের দাবি ভিন্ন। পুরো বিষয়টি তদন্ত শেষ করে বলা যাবে।”
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান বলেন, “পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”