পেকুয়ায় গ্যারেজে মেরামতের সময় সিএনজি চালিত একটি টেক্সির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ছৈয়দ আলম (৩৫) মারা গেছেন। গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানায়। গতকাল তার মরদেহ পেকুয়ার ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় নিয়ে আসা হলে এলাকায় এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়। ছৈয়দ আলম উখিয়ার বালুখালীর মো. হোসেনের ছেলে। সে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম মাথায় একটি দোকানে মিস্ত্রির কাজ করতেন। ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই পেকুয়ার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পশ্চিম মাথায় রুহুল আমিনের একটি টেক্সি গ্যারেজে মেরামতের সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এসময় ছৈয়দ আলম সহ ৮ ব্যক্তি দগ্ধ হয়। নিহত ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সানজিদা বেগম জানান, “তার স্বামী টেক্সি মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। ঘটনার দিন তার দোকানের পাশে রুহুল আমিনের দোকানে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সে ওই দোকানের কর্মচারীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান। এসময় তার গায়েও আগুন লেগে যায়। পরে সে শরীরের আগুন সহ পাশের খালের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় এতদিন চিকিৎসা চললেও একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ছোট তিন সন্তান নিয়ে সামনে অন্ধকার দেখছেন।” পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, নিহত দরিদ্র মিস্ত্রি ছৈয়দ আলমের কোন আত্মীয় স্বজন নেই। সে স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। এলাকাবাসীর সহায়তায় এতদিন তার চিকিৎসা চালানো হয়েছে। ওই অসহায় পরিবারকে আমরা সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছি।