পেকুয়ায় স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে গৃহবধূ সালমা আক্তার (১৪) খুনের ঘটনায় নিহতের মা মর্তুজা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ঘাতক স্বামী আলমগীরসহ ৪ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় আলমগীরের ভাই বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনরাজা জাহাঙ্গীর। প্রধান আসামি আলমগীরকে ঘটনার দিনই চমেক হাসপাতাল থেকে আটক করে নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বামীর হাতে চরম নির্যাতনের শিকার সালমা আক্তার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছনখোলা পাহাড়ি এলাকার জাফর আহমদের পুত্র ও ওই ওয়ার্ডের বিতর্কিত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আলমগীর প্রকাশ ডাকাত আলমগীর তার নববিবাহিতা স্ত্রী সালমা আক্তারকে নিজ বাড়িতে ৩ দিন ধরে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং বিনা চিকিৎসায় বন্দী করে রাখে। এমনকি আহত সালমা আক্তারের শরীরের সিগারেটের ছ্যাঁকা ও গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগও করেছে তার পরিবার।
এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে মা খুনের ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আটক ছেলে নাছির উদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নিহতের স্বজনরা অজানা কারণে এ ঘটনায় মামলা করতে কেউ আগ্রহী নয়। কেউ মামলা না করলেও এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভারওয়াখালী এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা শামশুন্নাহার। তিনি ওই এলাকার মৃত হাজি বদিউল আলমের স্ত্রী। এঘটনায় ওইদিনই পুলিশ ছেলে নাছির উদ্দিনকে আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার করে।
এ দুই আলোচিত ও নৃশংস খুনের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এস আই সুমন সরকার জানান, গৃহবধূ সালমা হত্যার ঘটনায় নিহতের মা মর্তুজা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আর ছেলের হাতে মা খুনের ঘটনায় তার স্বজনরা কেউ মামলা করতে আগ্রহী নয় বলে জানা গেছে।