পেকুয়ায় গ্যারেজে মেরামতের সময় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ছৈয়দ আলম (৩৫) মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলািই) তার মরদেহ পেকুয়া উপজেলার ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় নিয়ে আসা হলে এলাকায় এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়। নিহত ছৈয়দ আলম কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের মো. হোসেনের ছেলে।
তিনি পেকুয়া বাজারের পশ্চিম মাথায় একটি দোকানে মিস্ত্রির কাজ করতেন এবং ভোলাইয়্যাঘোনা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের পশ্চিম মাথায় রুহুল আমিনের একটি অটোরিকশার গ্যারেজে মেরামতের সময় গ্যাস সিলিন্ডারে বিষ্ফোরণ হয়। এসময় ছৈয়দ আলম সহ ৮ ব্যক্তি দগ্ধ হয়।
নিহত ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সানজিদা বেগম জানান, তার স্বামী অটোরিকশার মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। ঘটনার দিন তার দোকানের পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের দোকানে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটলে তিনি ওই দোকানের কর্মচারীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান। এসময় তার গায়েও আগুন লেগে যায়। পরে তিনি শরীরের আগুন সহ পার্শ্ববর্তী খালের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় এতদিন চিকিৎসা চালানো হলেও একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে সামনে অন্ধকার দেখছেন বলে জানান তিনি।
পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.-এর সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, “নিহত দরিদ্র অটোরিকশা মিস্ত্রি ছৈয়দ আলমের কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। তিনি স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এলাকাবাসীর সহায়তায় এতদিন তার চিকিৎসা চালানো হয়েছে। এলাকাবাসীর সহায়তায় ওই অসহায় পরিবারটিকে একটি মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতে আমরা চেষ্টা করছি।”