কক্সবাজারের পেকুয়ার দুর্ধর্ষ শীর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার হত্যা মামলার পলাতক আসামি এমরান অবশেষে পুলিশে হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং গুপ্তচরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রেলওয়ে কার্যালয় এলাকার সাত রাস্তার মোড় নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পেকুয়া থানা চৌকস অফিসার এসআই সুনয়ন বড়ুয়া ও জুয়েল বড়ুয়াসহ নগরীর সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ টিমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এমরান (২৮) পেকুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর গোঁয়াখালী এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। গ্রেপ্তার এমরান পেকুয়ার চাঞ্চল্যকর শ্রমিকদল নেতা শহিদ হত্যার অন্যতম আসামি। সে শহিদ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয় বলে জানান মামলার বাদী মোহাম্মদ শাকের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এমরান দীর্ঘদিন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় বকাটে উঠতি বয়সি ছেলেদের নিয়ে কিশোরগ্যাং গঠন করে দখল বেদখল, মাদক বিক্রি ও অনলাইন জুয়ায় আসর বসিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হতো। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পেতনা।
২০২২ সালে (২৩ জুন) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মিঠাবেপারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা চকরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আনিস ফারুখ কাজল নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে চলন্ত মার্কেট নামক স্থানে আসলে কিশোর গ্যাং লিডার এমরানের নেতৃত্বে কাজলকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
সে সময় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাওয়ার পথে কাজলের ভাই ইউনুছ ফারুক রনিকে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর থেকে এ কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে ওই পরিবার এলাকা ছাড়া হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শ্রমিক দল নেতা শহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এমরানকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আবেদন করা হবে।