জুলাই বিপ্লব বীরত্বের গল্প একসঙ্গে ভয়াবহ বেদনার গল্পও। জুলাই যোদ্ধারা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সরকার তাদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে গিয়ে এক আলাপচারিতায় এ কথা বলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামাস্থ ওয়াসিমের বাড়িতে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি তার পিতা–মাতা ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সান্ত্বনা দেন। এসময় তিনি শহীদ ওয়াসিম আকরামের ব্যবহৃত টি শার্ট ও বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের স্মারক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জুলাই শহীদদের বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি। আগামী এক থেকে দেড় মাস চলবে এ কার্যক্রম।
এর আগে তিনি উপজেলা মিলনায়তনে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের ষোলশহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম। ওয়াসিমের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার এবং স্থানীয়রা। মারা যাওয়ার ১০ মাস পরও তার স্মৃতি আঁকড়ে কাঁদছে পরিবারটি। তিনি বলেন, সরকার জুলাই আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জুলাইয়ের বীরত্বের গল্প এবং শোকগাঁথা সংরক্ষণ। যাতে ৫০ বছর পরে গিয়েও পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে কি হয়েছিল, তারা যেন বুঝতে পারে কি করা যাবে, কি করা যাবে না। এতে আর কোনোদিন এরকম খুনির আবির্ভাব হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়ারা বেগম।