টিউবওয়েল নিয়ে মারামারিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২ দিন পর পেকুয়ায় জাকের হোসেন মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে মারা যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার লোকজন জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি জয়নালের বাড়ির সামনে একদল দুুর্বৃৃত্ত একই এলাকার জাকের হোসেন মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হওয়ায় প্রথমে তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিহত জাকের হোসেন মিয়া হরিনাফাঁড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এদিকে, জাকের হোসেন মিয়া জখম হওয়ার পরদিনই তার স্ত্রী নাহারু বেগম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সহ ১৪ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে, আজ মামলার বাদী নাহারু বেগম আজ শুক্রবার রাতে তার ঘরেই সাংবাদিকদের বলেন, “তার কাছ থেকে শাহাদাত নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি এজাহারে স্বাক্ষর নিয়ে সেখানে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, সিকদার পাড়ার সাঈদী ও হৃদয় সহ ৯ জন নিরীহ ব্যক্তিকে আসামী করেছে বলে শুনেছি। তারা আমার মামলার আসামী নয়। আমি অশিক্ষিত মানুষ, পড়তে জানি না। এ সুবাদে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মামলাটি করেছে। আমার আসামী কেবল ৫ জন। তৎমধ্যে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।”
গ্রেফতার আসামী হলো একই এলাকার শকির আলমের ছেলে আবদুল জলিল।
নিহতের স্ত্রী নাহারু বেগম আরো জানান, মাসখানেক আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকূপ স্থাপন কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার জনৈক মনির উদ্দিন সহ ৫ ব্যক্তি। তারা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে টিপুর টিউবওয়েল স্থাপনের কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে রাখে মনির, সরফরাজ, পুতু, তারেক, মানিক ও মিরাজ।
নিহত জাকের টিপুর পক্ষ হয়ে মনির গংদের সাথে বিরোধে জড়ান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “নিরীহ ব্যক্তিদের আসামী করার বিষয়ে স্বয়ং বাদীর অভিযোগ আমিও শুনেছি। মূলত পুলিশ বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করেছে। এটা পুলিশ বাদী হলে একটা কথা ছিল। এখন বাদীই বলছেন মাঝখানে একটি চক্র তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিরীহ ব্যক্তিদের আসামী করেছে। আমরা তদন্তপূর্বক নিরপরাধ ব্যক্তিদের অবশ্যই মামলা থেকে অব্যাহতি দেব।”