কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত অনুমান সাড়ে ৮ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নন্দিরপাড়া এলাকার ভিকটিমের নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহাব উদ্দিন (৪০)। সে একই এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে ভিকটিম তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিবাদী ভিকটিমের বসতবাড়িতে কৌশলে ঢুকে ভিকটিমকে হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করে। এসময় ভিকটিমের দুই মেয়ে দেখতে পেয়ে তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন বিবাদীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। বিবাদী স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। গৃহবধূ একই এলাকার বাসিন্দা এবং দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ছালেক বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়টি শুনেছি। অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তদন্ত চলাকালীন বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাইনা তবে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশকে সহযোগিতার করব।
এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত সাজানো উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী নুসরাত জাহান আলিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী নির্দোষ দাবি করে বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে স্থানীয় ফজল কাদেরের সাথে আমার স্বামীর আত্মীয়দের সাথে সিএনজি চুরির বিষয় নিয়ে মারামারি হয়।
এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। ওই ঘটনায় ফজল কাদেরকে আসামি করা হয়। মূলত ফজল কাদের ভিকটিমের স্বামী ও ভিকটিমকে হাত করে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণের এ ঘটনার নাটক সাজিয়েছে। আসলে আমার স্বামী একজন দিনমজুর। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে যারা এ ধরণের ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাব উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে আদলতে প্রেরণ করা হবে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা ও ডিএন রিপোর্ট পেলে ও অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।