কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিগত সরকার মিজানুর রহমান আজহারিকে মাহফিল করতে না দেয়া ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল, জুলাই আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম মাঠে মাহফিল হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ওয়াজ মাহফিলে কয়েক লক্ষ মানুষ জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মাহফিল কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, মিজানুর রহমান আজহারি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জনপ্রিয় ইসলামি বক্তারা বক্তব্য রাখবেন। সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ মাহফিলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।
বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হলে লোক সমাগমের বিষয়টি আরো গুরুত্ব পায়। তিনিও দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকার বক্তব্য রাখবেন, তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় তার বক্তব্য শুনতে জনস্রোতের সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও তিনি বর্তমানে দেশের বাহিরে রয়েছেন।
ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ১ শত সদস্যের বিশেষ টিম পেকুয়ায় অবস্থান করছে। মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের এ বিশেষ টিম কাজ করবে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনী সাদা পোশাকে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়া থানা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে, বিশেষ করে অনেক লোক জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা পুলিশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
মাহফিল ঘিরে বা এই সুযোগে কোন দুষ্কৃতকারীকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়টি বিবেচনা রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে সুতরাং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কোন দুষ্পৃতকারীদের সুযোগ দেয়া হবেনা।
ইতিমধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ১শত সদস্যদের বিশেষ টিম পেকুয়ায় রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিগত সরকার ইসলামি বক্তৃতাদের মাহফিল নিষিদ্ধ করার কারণ ও ইসলামিক বক্তাদের নামে মামলা দিয়ে আটক করে জেলে রাখা হলে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিগত সরকারের এমন মনোভাবের কারণে মাহফিল গুলো ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে আরও গুরুত্ব পায় এতে মানুষের উপস্থিতি আরও বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।