কৃষক আবদুল করিম। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তায় প্রথমবারের মত দেশী জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। পটিয়ার কেলিশহর রতনপুর উত্তর ভূর্ষি গ্রামে মাত্র ১০ শতক জায়গার উপর পেঁয়াজ চাষ করেন করিম। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে পেঁয়াজ চাষ করে যে সফলতার মুখ দেখছেন তাতে আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে আগ্রহী বলে জানান কৃষক করিম। তার পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ ও সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে পেঁয়াজ চাষ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। এ জন্য কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আগামী মৌসুমে পেঁয়াজ চাষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ১০ শতক জায়গায় পেঁয়াজ চাষ শুরু করেন আবদুল করিম। চলতি মার্চ মাসে মাঠ থেকে ফসল তুলবেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক আবদুল করিম জানান, পটিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পেঁয়াজ চাষ করতে বলা হলে, প্রথমে আগ্রহ ছিল না। পরে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে চাষ শুরু করি। এখন মাঠে পেঁয়াজের ফলন দেখে খুবই ভাল লাগছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার উজ্জল দের প্রতিনিয়ত তদারকি করে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে সার, কীটনাশক, বীজ ও নগদ টাকা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, পেঁয়াজ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য্য রান্নার উপাদান।
পেঁয়াজ ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন খাবারও রান্না বান্না হয় না। যার ফলে এর চাহিদা প্রতিনিয়ত। আমাদের দেশে পেঁয়াজের যোগান বিদেশ নির্ভর ও দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হয় না। এ অঞ্চলে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ তেমন একটা করেন না।
এখন আমরা দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ও বিদেশ নির্ভরতা কমাতে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। সাথে সাথে কৃষকদের অন্যান্য সবজির সাথে পেঁয়াজ চাষের পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছি।