পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটের কারসাজি ও গুদামজাত বন্ধের দাবিতে এবং মূল্য না কমা পর্যন্ত খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জন দুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ এর আয়োজনে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর খাতুনগঞ্জস্থ পাইকারি পেঁয়াজের আড়ত হিসেবে খ্যাত হামিদুল্লা মিয়া বাজার এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতের পেঁয়াজ সরবরাহকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের বাজারে এখনো পেঁয়াজের সংকট নেই। ভারতের সামান্য সংকটকে কেন্দ্র করে রাতারাতি এদেশের অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা গুদামজাত করে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট করছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা অহেতুক সিন্ডিকেট কারসাজি করে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা অনৈতিক ও গর্হিত কাজ। বক্তারা আরো বলেন, আমদানিকারক, বিক্রেতা, সরবরাহকারি সবাই এ দেশের মানুষ, তারপরও জনগণের নিত্য পণ্য নিয়ে কেন এভাবে চিনিমিনি খেলা হবে ? নিশ্চয় এটা সরকারকে বেকাদায় ফেলার জন্য একটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। এসময় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে না আসলে যে সকল পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কারসাজির সাথে জড়িত তাদের নাম গণমাধ্যম এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হবে। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। অতি মুনাফা করে ক্রেতাদেরকে ঠকিয়ে মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণ করলে বা হজ্ব করলে কোন লাভ হবে না। যেহেতু অতি মুনাফা ইসলামে হারাম। বক্তারা পেঁয়াজের দাম না কমা পর্যন্ত খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দেয়ার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান। বক্তারা খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ ভর্তি অবৈধ গুদাম খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, রাজনীতিবিদ সাইদুর রহমান চৌধুরী, আবদুর রহমান মিয়া, মোরশেদ আলম, সমাজসেবক সোলায়মান সুমন, জানে আলম, মো. শাহজাহান, হোসেন মো. মুরাদ, রাজিব হাসান রাজন, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রনেতা মনিরুল হক মুন্না, শেখ মামুন, হাসান মুরাদ, সালাহ উদ্দিন জিকু, আবদুল মালেক, আরাফাত রুবেল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।