চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি পার হয়েছে। গত দুইদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, দেশে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। ফলে দাম বাড়ছে। অপরদিকে পাইকারিতে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরাতেও। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
গতকাল চাক্তাইয়ের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত। এসব পেঁয়াজ আসছে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি থেকে।
পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। বর্তমানে পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে দামও বাড়ছে।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সেই পরিমাণ যোগান নেই। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য এখন কোনো ব্যবসায়ী চাইলেও পেঁয়াজ মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে আবার দামও কমে যাবে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। যে পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসছে, তা যথেষ্ট নয়। এখন সরকার নিশ্চয়ই বাজার স্থিতিশীল রাখার কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।
এদিকে পাইকারিতে দাম বাড়ার সাথে খুচরা বাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।












