ইফতারিতে ক্ষতিকর রং ব্যবহার, মূল্য তালিকা না থাকা, বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ষোলশহর, মুরাদপুর, কর্নেলহাট, সিটি গেইট, বিশ্ব ব্যাংক কলোনি, বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে মুরাদপুর এলাকায় ইফতারের পেঁয়াজু ও বেগুনিতে অননুমোদিত রং ব্যবহার করা হয় হাটহাজারী স্টোরকে ৮ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কর্নেলহাট কাঁচাবাজারের সেলিমের মাংসের দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চেয়ে অধিক মূল্যে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করায় আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনি এলাকার ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ৩ হাজার টাকা, এনআর গ্যাস সার্ভিসকে ১ হাজার টাকা, ষোলশহর এলাকার জাহিন এন্টারপ্রাইজকে ৩ হাজার টাকা, সোহেল এন্টারপ্রাইজকে ৩ হাজার টাকা, খাজা স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। অভিযানে কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে ভোক্তাসাধারণের মাঝে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিক্রেতাদের মাস্ক পরতে, ক্রেতাদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে এবং কেনার সময় প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হটলাইনে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে অনুরোধ জানান কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মুদি, মাছ-মাংস ও ফ্রুটসের দোকানে মূল্য তালিকা না টাঙানোয় ১২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে রমজানে বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেঙের কাঁচা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মুদি, মাংস, মুরগী, মাছ ও ফ্রুটসের দোকানে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা না থাকায় ১২ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ৭শ টাকা জারিমান করা হয়। অভিযানে জনসাধারণকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।