পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি

জাহেদুল কবির | বুধবার , ৩ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। চাক্তাইখাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও আগের চেয়ে কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরেও দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। মূলত ভারতীয় পেঁয়াজের দামের সাথে সমন্বয় করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে পাইকারী বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবে খুচরা বাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

গতকাল চাক্তাইয়ের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকায়। পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। বর্তমানে পেঁয়াজের চাহিদা কমার কারণে এখন দামও কমছে। আসলে পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, চাইলে মজুদ রাখা যায় না।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আসলে আমাদের দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়া কিংবা কমা নির্ভর করে চাহিদা ও যোগানের ওপর। বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ঠিক, তবে শুল্ক বেশি হওয়ার কারণে আমদানিতে খরচও বেশি পড়ছে। এটির প্রভাবে দাম বাড়ছে। এছাড়া অনেক আমদাকিারক ঝুঁকি নিয়ে আমদানি করছেন না। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের দামও কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে এখন কিছুটা সরবরাহ সংকট রয়েছে। সরবরাহ সংকটের কারণে মূলত দাম বাড়ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেন। ব্যবসায়ীরা যেন কোনোভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় জেলফেরত আসামির ছোঁড়া গুলিতে প্রবাসীর স্ত্রী আহত
পরবর্তী নিবন্ধসপরিবারে বেনজীর ও মতিউরের সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক