পৃথিবীর আলো দেখতে পেল ২০ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শিশু

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার

| শুক্রবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

দুই বছর বয়সী কন্যাশিশু শহিদা বেগম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নেয়া শিশুটি জন্মগতভাবে অন্ধ ছিল। চোখে ছানির কারণে দেখতে পাচ্ছিল না সে। অবশেষে রঙিন পৃথিবীর আলোয় আলোকিত হলো তার জীবন। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে দুই দফায় শহিদা বেগমসহ ২০ জন বাংলাদেশে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার চোখের বাঁধন খুললে এসব শিশুরা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। পাশাপাশি ওষুধসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। এর আগে ২ ডিসেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে চোখের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় চক্ষু হাসপাতালে এই কার্যক্রম চালু হয়। শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এম আই এস কনসালটেন্ট মকবুল হোসেন, চক্ষু হাসপাতালের অফথ্যালমিক প্যারামেডিক নুরতাজ, নাসরিন ও ফখরের জাহান। তাছাড়া সহযোগিতা দেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের (ক.বা.শ) ম্যানেজার শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, অপটোমেট্টি আফসানা আফরিন, ফিল্ড ফেসিলিটেটর জামিল উদ্দিন বাপ্পী।
কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের তত্বাবধানে অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য কঙবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চটগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার হওয়া কক্সবাজারের স্থানীয় ৬ শিশুর গতকাল বৃহস্পতিবার চোখেন বাঁধন খোলা হয়। ওই দিন আরো ৫ রোহিঙ্গা শিশুর অস্ত্রোপাচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর শিশুদের বাবা-মা অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত। এতদিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম তা এখন কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে। এই চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানদের সঠিক ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েট একাডেমিক কাউন্সিলের সভা
পরবর্তী নিবন্ধ‘সঙ্গীতা’র কর্ণধার সেলিম খান আর নেই