জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের একটি স্কুলে ‘পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই’ বোমা মেরেছে। সেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যূত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মধ্য গাজার নুসিরাত এলাকার স্কুলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স–এ ফিলিপ লাজারিনি লিখেছেন, মধ্য গাজার নুসিরাত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত ‘আরেকটি ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। খবর বাসসের। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, জঙ্গিবিমান স্কুলে আঘাত হানলে নয়জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। হাগারি একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেন, জেট বিমান তিনটি শ্রেণীকক্ষে আক্রমণ করেছিল যেখানে ইসলামিক জিহাদ এবং হামাসের প্রায় ৩০ জন লুকিয়ে ছিল। আল–আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতাল জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। লাজারিনি বলেন, স্কুলটিতে যখন আঘাত হানে তখন ৬ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। তিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ ‘তার সমস্ত অবকাঠামো সুবিধা বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং সংঘাতের অন্যান্য পক্ষগুলোকে অবহিত করে পরিচালিত হয়। লাজারিনি বলেন, আক্রমণ করা, লক্ষ্যবস্তু করা বা সামরিক উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের ভবন ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট অবজ্ঞা। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বি’সেলেম এই হামলাকে ‘সন্দেহজনক যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যেমন দাবি করে, হামাস স্কুলটিকে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করার জন্য ব্যবহার করেছিল, তাহলেও এই পদক্ষেপটি বেআইনি, এটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে স্কুলে আশ্রয় নেয়া বেসামরিক লোকদের ব্যাপক ক্ষতির ন্যায্যতা দিতে পারে না। এতে বলা হয়,‘যুদ্ধ জুড়ে বেসামরিকদের হত্যা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যকলাপের চরিত্রের একটি অনিবার্য ফলাফল’ প্রদর্শিত হয়েছে।












