নগরের পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের জীবন মিস্ত্রীর মোড় থেকে থেকে নুরনগর হাউজিং সোসাইটি পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল পরিচালিত এ অভিযানে ‘বীর্জা খাল’ দখলমুক্ত করা হয় বলে দাবি করে সংস্থাটি। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন দাবি করেন, এটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেয়া নালা। উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশও রয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বীর্জা খালের উপর স্ল্যাব দিয়ে খাল দখল করে ফেলেছে। খালের দুই পাশে হয়তো ওদের জমি আছে। আজকে খাল উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি। আগেও একবার অভিযান করেছিলাম। হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাল তো সরকারি সম্পত্তি। এটা পানি চলাচলের পথ। সেখানে কেউ ব্যক্তিগত দাবি করলেই তো হবে না।
ঘটনাস্থলে একজন নিজেকে জায়গার মালিকের ভাই পরিচয় দিলে বলেন, সিটি কর্পোরেশন বীর্জা খাল বলে যা দাবি করছে তা সঠিক নয়। এটা পৈত্রিক জায়গায় দেয়া ব্যক্তিগত ড্রেন। বীর্জা খাল নুরনগর হাউজিং সোসইটির উপর দিয়ে গেছে। অন্য জায়গায় লোকজন ড্রেন না রাখলেও আমরা রেখেছি। এ বিষয়ে কর্পোরেশনে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। মামলা করা হয়। এরপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দেয়। ওই আদেশ না মেনে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযানে অংশ নেয়া চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, খালের উপর স্ল্যাব দিয়ে গেট দেয়া হয়। সেটা ভেঙে দিয়েছি।