রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৩৭ একর জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল ক্ষমতা হারিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ নির্মাণের কথা ছিল। স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট’। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এতগুলো ক্রিকেট স্টেডিয়াম থাকতেও কেন বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনার আমলে নেওয়া প্রকল্পের সংশোধন, পরিমার্জন এমনটি বাতিল করা হচ্ছে। আর এটি খুবই স্বাভাবিক। সেই ধারাবাহিকতায় ‘দ্য বোটে’র নকশা বদলের পরিকল্পনা নিয়েছে নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। প্রাথমিকভাবে স্টেডিয়ামটি থেকে নৌকার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া বদলে ফেলা হবে স্টেডিয়ামের নামও। রদবদলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রকল্পের দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ আগস্ট। কিন্তু আজ বিসিবি পর্ষদের সভায় এই দরপত্র বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড সূত্র। সূত্র জানিয়েছে, আপাতত প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চায় বিসিবি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যক্রম চালু করা হবে। এদিকে গত মঙ্গলবার এই স্টেডিয়াম নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে বিসিবি পরিচালক আকরাম বলেছিলেন আমরা এই বোর্ড আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আছি। এই সময়ের মধ্যে বড় কোনো প্রকল্পে হয়তো আমরা হাত দিতে পারব না। ছোট ছোট যে কাজ আছে সেগুলো শেষ করতে চাই। তবে বিসিবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টেডিয়ামটি প্রয়োজন তাদের। ২০৩১ সালে বাংলাদেশে হওয়ার কথা রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য ভেন্যু বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে আইসিসিকে। এখণ স্টেডিয়ামটির কি হয় সেটা দেখতে আজকের বোর্ড সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।