হালিশহরের চসিক গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহশিক্ষা পাঠক্রম চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন খোরশেদ আলম সুজন। একইসঙ্গে কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক। গতকাল শনিবার চসিক গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গভর্নিং কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা জানান।
চসিক প্রশাসক বলেন, প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নতুন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অনেক রুগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণভূক্ত করে নগরীতে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। চসিকের অধীনে বিভিন্ন স্তরে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। এ জন্য চসিককে বড় অংকের ভর্তুকি দিতে হয়। তবে পরবর্তী মেয়রগণ চসিকের শিক্ষা সেবার মান ও সুনাম ধরে রাখতে পারেননি।
সুজন বলেন, রেলওয়ের কাছ থেকে পাওয়া আড়াই একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। তবে শুধু গার্হস্থ্য হিসেবে বিশেষায়িত থাকায় এখানে সহশিক্ষা চালু করা যায়নি। এখানে মোট শিক্ষক ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৭ জন এমপিওভুক্ত। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১শর মত। এতেই প্রতীয়মান শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় ব্যয়ের আধিক্য বেশি। তবে নতুন বিভাগ ও সহশিক্ষা পাঠক্রম চালু করতে পারলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে।
তিনি বলেন, এই কলেজের বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সাথে আলোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হবে। এ সময় কলেজটিতে দৃশ্যমান তোরণ নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণের কথা বলেন তিনি। সুজন বলেন, ইতোমধ্যে ভূমি অধিদপ্তর থেকে নামজারী হয়ে গেছে বিধায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নির্মাণকাজে কোন বাঁধা থাকবে না। সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ আ ন ম আকতার। বক্তব্য দেন সাবেক কাউন্সিলর মো. হোসেন, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি জালাল আহমদ, সহকারী অধ্যাপক ওসমান গণি, কাজী মো. শাহেদ হাসান ও মনোয়ারা বেগম। এ সময় কলেজের দাতা সদস্য ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।