চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ১২ ডিসেম্বরের সম্মেলনে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। ওইদিনের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা সভাপতি পদে পুনরায় মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় মফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন। সম্মেলনের পর তিন মাস গত হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এরই মধ্যে সম্মেলনের দুই
মাসের মাথায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ মারা যাওয়ায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুর পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও পটিয়া
উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মনোনয়ন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মোতাহেরুল ইসলামকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এখন শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ নেই। বর্তমানে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি
ইউনিটের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হলেও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় সকল কর্মকাণ্ড চলছে।
জানা গেছে, নতুন কমিটির সহ সভাপতি থেকে শুরু করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা এবং সদস্যসহ এখন ৬৯ পদে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে কেন্দ্র থেকে।
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় এক শীর্ষ নেতা জানান, দক্ষিণ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য জেলার সাবেক নেতাদের অনেকেই এবং তরুণদের অনেকেই কেন্দ্রে নানান ভাবে চেষ্টা–তদিবর করছেন। কমিটি ৭১ সদস্যের কিন্তু নেতা অনেক। সবার তো কমিটিতে স্থান হবে না।
জেলা কমিটির সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা আজাদীকে বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে জেলার রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা চাই আমাদের ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হোক।
তবে কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলার সাবেক নেতাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজের নেতাদের পদোন্নতি হতে পারে। একই সাথে জেলার সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের ত্যাগীদেরও দক্ষিণ জেলার নতুন কমিটিতে স্থান হতে পারে।