আসন্ন শারদোৎসবকে সামনে রেখে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. চন্দন তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে, মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ পাল অরুণ, সহ সভাপতি অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানর্জী, রানা বিশ্বাস, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সুমন দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন মল্লিক, দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেব, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিখিল কুমার নাথ, বাবুল ঘোষ বাবুন, অরূপ রতন চক্রবর্ত্তী, বিপ্লব চৌধুরী, প্রদীপ শীল, সজল দত্ত, বিপ্লব সেন, দোলন দেব, অ্যাড. টিপুশীল জয়দেব, সুকান্ত মহাজন টুটুল, স্ট্যালিন দে, সঞ্জয়িতা দত্ত পিংকী, দীপ্ত সিংহ, সাজু চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা পূজা পরিষদের সভাপতি লিটন শীল, অয়ন ধর।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাড. চন্দন তালুকদার বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল প্রকার বৈষম্য ও বিভেদ নীতির অবসানের দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনো চলছে।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নানাভাবে নির্যাতনের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে যার জন্য হিন্দু সম্প্রদায় শংকিত। তাছাড়াও আসন্ন শারদোৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের গৃহীত একটি সিদ্ধান্তে অর্থাৎ পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা রক্ষায় স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেয়ার সিদ্ধান্তে পূজা কমিটিগুলো উদ্বিগ্ন এবং জনগণ আরো শংকিত। প্রতিবছর পূজা মণ্ডপের পাহারায় স্থায়ীভাবে ৪-১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫-১০ জন ভিডিপি নিয়োগ দেয়া হতো, কিন্তু এবার শুধু টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে নিরাপত্তা কতটুকু হবে তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। জৌলুস পূর্ণ আলোক সজ্জা, মণ্ডপের সাজসজ্জা, থিম, আলোচনা সভা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, সাউন্ড সিস্টেম বর্জন করা হবে। এজন্য সকলের প্রতি ২৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট প্রচার করা হয়। এবার জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বোধন, অধিবাস, সপ্তমী পূজা, অষ্টমী পূজা, সন্ধি পূজা, নবমী পূজা, দশমী পূজা, বস্ত্রদান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জাগরণ পুঁথি পাঠ, প্রতিদিন সন্ধ্যারতি এবং ২৬ অক্টোবর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিসর্জন অনুষ্ঠান। এবার বিসর্জন স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।