পুড়ছে পশ্চিম ইউরোপ

রেকর্ড ভাঙা গরম

| বৃহস্পতিবার , ২১ জুলাই, ২০২২ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলজুড়ে বয়ে চলা নজিরবিহীন তীব্র তাপদাহে তাপমাত্রার পূর্ববর্তী অনেক রেকর্ড ভেঙে গেছে। পাশাপাশি নতুন নতুন দাবানলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এমনিতে মৃদু জলবায়ুতে অভ্যস্ত যুক্তরাজ্যে এবারই প্রথম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম দিন দেখেছে জার্মানি। কয়েকদিনের টানা তীব্র গরমের মধ্যে পর্তুগালে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। খবর বিডিনিউজের। মহাদেশটির বিভিন্ন অংশে প্রাণঘাতী দাবানল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)।

মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়েই এখন নিয়মিত ও আগের তুলনায় তীব্র দাবানল দেখা যাচ্ছে, সেগুলো স্থায়ীত্বও দীর্ঘ হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা এর চেয়েও তীব্র, শক্তিশালী কিছু দেখতে পাব, বলেছেন ডব্লিউএমওর প্রধান পেতেরি তালাস। যুক্তরাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। সোমবার ফ্রান্সের পৃথক ৬৪টি এলাকায় রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে এবারের তাপদাহে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙেনি।

তীব্র তাপদাহের পর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে এখন ফের ঠাণ্ডা আবহাওয়া ফিরে আসছে। বেলজিয়ামে দে হান রিসোর্টের টিলায় এক অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি যানবাহন পুড়ে গেছে। তাপপ্রবাহ জার্মানির উত্তর ও পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকায় দেশটির কিছু অংশে এখনও আবহাওয়া সতর্কতা জারি আছে। নেদারল্যান্ডসের মাস্ট্রিচটেও তাপমাত্রা একই ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। পর্তুগালে এখন তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেলেও গত সপ্তাহ থেকে দেশটিতে হাজরের বেশি তাপপ্রবাহজনিত মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ কোপার্নিকাস মনিটরিং সার্ভিস বলেছে, জুন ও জুলাইয়ে দাবানল থেকে মোট কার্বন নিঃসরণ ২০০৩ সালের পর এবারই স্পেনে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ
পরবর্তী নিবন্ধপুতিনের ধৈর্যের পরীক্ষা নিলেন এরদোয়ান