পুলিশ পরিচয়ে সাহায্যের নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ পুরো দেশে ছড়িয়ে আছে তাদের নেটওয়ার্ক। টার্গেটের কাছ থেকে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতে তাদের প্রধান অস্ত্র পুলিশ পরিচয়। সম্প্রতি নগরীর সদরঘাট থানাধীন কালীবাড়ি মোড়ে এমনই এক প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের তিন সদস্যকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. হিরন হাওলাদার ওরফে সাগর (৩৫), নগরীর বাসিন্দা মৃত বিধু ভূষণ সেনের ছেলে পিযুষ কান্তি সেন ওরফে বাবু (৬৫) এবং ঢাকা জেলার ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. খোরশেদ আলম খোকা (৩৫)। গত মঙ্গলবার একটি মামলার সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করে সদরঘাট থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার। যার রেজিস্ট্রেশন ঢাকা মেট্রোর অধীনে। নিজস্ব এই গাড়ি দিয়েই সারা দেশে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। প্রাইভেট কারটির মালিক গ্রেপ্তার খোকা। মূলত ছিনতাই কাজে ব্যবহারের জন্য এটি কেনা হয়েছিল। এছাড়া তারা পাঁচ বছর ধরে এভাবে প্রতারণা করছেন বলে জনিয়েছে পুলিশ।
সদরঘাট থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ১০ মার্চ সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বের হয়েছিলেন এক মহিলা। তিনি কালীবাড়ি মোড়ের সামনে পৌঁছালে ৭/৮ জন অজ্ঞাত লোক এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে বলেন, সামনে ইসলামিয়া কলেজ মোড় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন মারামারি করছে। সামনে যাওয়া যাবে না। আপনার কাছে যা আছে আমাদের কাছে জমা দিন। পরিবর্তে আমরা একটি কার্ড দিচ্ছি, আপনি পরে এসে নিয়ে যাবেন। তখন দুই ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বালা ও ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ওই প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দেন সেই মহিলা। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। প্রতারিত হওয়ার পরে ওই মহিলা সদরঘাট পুলিশের দারস্থ হলে মঙ্গলবার রাতে নগরীর পোস্ট অফিস গলি থেকে পিযুষকে এবং ঢাকার ধামরাই থেকে সাগর ও খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ৫ বছর ধরে দেশজুড়ে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছেন। ওসি বলেন, ১৬ মার্চ রাতে গ্রেপ্তারের পর ১৭ মার্চ আমরা তাদের আদালতে হাজির করি। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা আজাদীকে জানান, ৯ মার্চ কোতোয়ালী থানা এলাকায়ও তারা এমন একটা প্রতারণা করেছিলেন। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পুলিশের পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে ৭/৮টি করে মামলা রয়েছে। তাদের আরো ৪/৫ জন সদস্য সম্পর্কে আমরা তথ্য পেয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৫ ইউনিয়নে ৫০১ জনের মনোনয়ন জমা
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন ৪ জন