ফয়’স লেক থেকে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে চকবাজারের একটি হোটেলে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে (বরখাস্ত) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় যাবজ্জীবন ও ৯ (৪) খ ধারায় মিজানুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত
হওয়ায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেছেন। এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন মিজানুর রহমান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী ও তার এক ছেলে বন্ধুকে ফয়’স লেক থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে চকবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যান পরিদর্শক মিজানুর রহমান। এক পর্যায়ে সেখানে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। কলেজছাত্রী ও তার বন্ধু ফয়’স লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদী হয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার সময় মিজানুর বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানায় কর্মরত ছিলেন। একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনের জন্য তিনি চট্টগ্রামে আসেন। আদালতসূত্র আরো জানায়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল মিজানুরের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শেষ করে আদালত।
সেদিন তিনি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। একপর্যায়ে উচ্চ আদালত থেকে পাওয়া জামিন বাতিল করে সেদিন তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ এবং চার্জগঠন করে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।