ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক অঞ্চল পুরোপুরি ‘মুক্ত করার’ দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। রুশ বাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মিলে লুহানস্ক অঞ্চল মুক্ত করা হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় রোববার বলেছে, রুশ বাহিনী ও এর মিত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীরা লুহানস্কের ইউক্রেইনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ ঘাঁটি লিসিচানস্ক দখলের পর পুরো অঞ্চলই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউরি সাক বিবিসি-কে বলেছেন, লিসিচানস্ক এখনও রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
বেলগোরদে বেসামরিকদের মৃত্যু এবং বেসামরিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের দিক থেকে সরাসরি আগ্রাসন, এজন্য সামরিক প্রতিক্রিয়াসহ সবচেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো জরুরি, টেলিগ্রামে লিখেছেন ক্লিশাস। মস্কো এর আগেও কিয়েভের বিরুদ্ধে বেলগোরদ ও ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছিল। ইউক্রেন অবশ্য কখনোই সেসব হামলার দায় স্বীকার করেনি, উল্টো বলেছে, এসব ঘটনা হচ্ছে রাশিয়ার আগ্রাসনের ‘ফল’। বেলগোরদে সর্বশেষ হামলার বিষয়েও ইউক্রেনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, রয়টার্সও স্বতন্ত্রভাবে রুশ ভাষ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক নিহত হয়েছে; মাটির সঙ্গে মিশে গেছে অসংখ্য শহর। কিয়েভ ও এর পশ্চিমা মিত্ররা বলেছে, মস্কো বিনা উসকানিতে ইউক্রেনে আগ্রাসী যুদ্ধ চালাচ্ছে। রাশিয়া বলছে, যুদ্ধ নয়, ইউক্রেনে যা চলছে তা হল বিশেষ সামরিক অভিযান, যার লক্ষ্য হচ্ছে নিরস্ত্রীকরণ ও প্রতিবেশী দেশটিকে নাৎসিমুক্ত করা। এই অভিযানে বেসামরিক স্থাপনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো হামলা হচ্ছে না বলেও দাবি তাদের। মস্কোর এখনকার টার্গেট হচ্ছে দনবাসের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে তাড়িয়ে দেওয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রথম সামরিক হস্তক্ষেপের পর থেকেই দনবাসে কিয়েভবাহিনীর সঙ্গে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যুদ্ধ চলে আসছিল। পূর্বাঞ্চলে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী লিসিচ্যাংস্কের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক এলাকাগুলোর ওপর রুশ সমর্থিতরা তুমুল কামানের গোলা ছুড়ছে বলে অভিযোগ করেছে। লুহানস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে থাকা শেষ শহর এই লিসিচ্যাংস্ক।