সাকিবের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে লিটন দাসকে। আর তার নেতৃত্বে টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব প্রসঙ্গে অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘দেখেন ম্যাচের আগে হয়তো এরকম ছিল সাকিব ভাই খেললে ভালো হতো। কিন্তু আপনার হাতে যা অস্ত্র আছে তা দিয়েই একাদশ সেট করতে হবে। তখন কে থাকবে না থাকবে এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। হয়তো দুই বছর পর বা চার বছর পর এমন দিন আসবে যখন সাকিব ভাই থাকবে না। বাংলাদেশ দলকে তো এগিয়ে যেতে হবে। আমি যে দলটায় খেলেছি বাংলাদেশের সেরা দল ছিল। তারা তাদের ভূমিকা পালন করেছে।’ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে এই ম্যাচে ছিলেন না তামিম ইকবালও। লিটন বলেন, ‘ নিউজিল্যান্ডে যে আমরা জিতেছি, একই কিন্তু। তামিম ভাই, সাকিব ভাই কেউই খেলেনি। আমরা তরুণ দল ছিলাম এবং দেশের বাইরে গিয়ে জিতেছি। আমরা যখন দেশের বাইরে গিয়ে জিতলাম আমাদের ভেতর একটা বিশ্বাস আসল যে কষ্ট করলে সাফল্য পাওয়ার হার বাড়ে। সবাই এখন একটা ব্যাপারে মরিয়া যে কখন টেস্ট আসবে, কখন টেস্ট আসবে। আল্টিমেটলি দুই–তিন বছর পরে গিয়ে তিন–চারজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাবেন না। এখন থেকে এটা যদি সামলাতে না পারেন তাহলে হুট করে বদল হয়ে গেলে কঠিন। তারা খেললে ভালো হতো, কিন্তু এমন না যে ওখান থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারব না। পাইপলাইনে, আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। নতুন যারা আসছে তারা সামর্থ্যবান।’ অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিটন বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ না। যখন আপনার হাতে ভালো মানের ব্যাটার–বোলার থাকবে, তখন কাজটা সহজ হয়ে যায়। শান্ত আর জয় যেভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে সেটা খেলার ভিত অনেকটাই গড়ে দিয়েছিল, আমি অধিনায়ক হিসেবে মনে করি। তখন আমার মনে হচ্ছিল আমরা শক্ত অবস্থানে চলে যাচ্ছি, যদিও আমাদের প্রথম ইনিংসে বড় রান করার কথা ছিল। আমরা বাই চান্স কিছু সিলি মিসটেকের কারণে করতে পারিনি। তাই চ্যালেঞ্জ ছিল না, ওরকম কিছু ফেস করতে হয়নি। অধিনায়কত্ব তো করলামই কয়েকটা ম্যাচ, কাউকে ফলো করি না এখনো।’ তিনি জানান, ‘অধিনায়কত্ব খুব উপভোগ করেছি। বোলাররা যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে। বিহাইন্ড দ্য বল দেখছি যে বোলাররা বল ক্যারি করাচ্ছে। কিপিং করতেও মজা। অধিনায়ক যখন থাকি তখন ভালো লাগে যে উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে। যখন প্রথম ইনিংসে শান্ত ও জয়ের ভিত্তিতে আমরা ভালো স্কোর করলাম তখন থেকে আমরা বিশ্বাস করছিলাম প্রথম ইনিংসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাদের আমরা দেড়শর আগে অলআউট করেছি। কাজেই ব্যবধানটা তখনই বোঝা গেছে কোন পথে যেতে পারি। কিন্তু কঠিন উইকেট ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের ব্যাটাররা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরেছে, এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের ব্যাটার, বোলার ও পুরো দলের। মিরপুরে আমরা কখনো তিন পেসার নিয়ে খেলি না। যেহেতু উইকেটের আচরণটাই এমন ছিল যে, তিন পেসার নিয়ে খেলার মতো। উইকেটে যথেষ্টই পেসারদের রসদ ছিল। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমি অধিনায়ক হিসেবে খুব খুশি।’











