পুরুষদের চেয়ে নারীদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে

গবেষণা তথ্য

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৬ মে, ২০২১ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

করোনা প্রতিরোধে দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন নেওয়া পুরুষদের চেয়ে নারীদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় এর প্রমাণ পেয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক। গতকাল মঙ্গলবার তিনি একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এই গবেষণায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর অ্যালাইজা পদ্ধতিতে ৫০০ জন ভ্যাকসিন গ্রহীতার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান এই গবেষক। ৩৬০ জন পুরুষ ও ১৪০ জন নারীর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রক্রিয়ার মধ্যে এই গবেষণাটি করা হয়। পূর্ণ তথ্যসহ গবেষণাটি দ্রুত জার্নালে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গবেষণায় বিভিন্ন বয়সী ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তরুণদের মাঝে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার হার বেশি হলেও ৬০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে এই হরি তুলনামূলকভাবে কম। তবে পুরুষদের চেয়ে নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ডা. আশরাফুল হক বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে আমরা প্রথমে ৫০০ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করি। পরবর্তী সময়ে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ফের সেই ৫০০ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। আবার দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। তিনবারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবার মাঝেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে। তবে কেউ আক্রান্ত হবেন না এমনটা কোনো বৈজ্ঞানিক সূত্র দিয়ে বলার সুযোগ নেই। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কম হবে। তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর একটা নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে মানুষের মাঝে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এমন অবস্থায় যদি কারও মাঝে সংক্রমণ শনাক্তও হয়ে থাকে, তবে সেটির মাত্রা কম হবে। অর্থাৎ মৃত্যুঝুঁকি কিন্তু অনেকেরই কমে আসবে। ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের হাসপাতালে ভর্তির হারও কমে আসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত লাখ ৬৯ হাজার টাকা বকেয়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় দিনমজুরের রহস্যজনক মৃত্যু!