স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে লালদিয়া চরবাসীকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার। এ বন্দর থেকেই দেশের শতকরা ৮০ ভাগ রাজস্বের যোগান দেওয়া হয়। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বন্দরকে ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ লাভবান হলেও চট্টগ্রামবাসী বন্দর থেকে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দীর্ঘকাল ধরেই। এ যেন চেরাগের নিচে অন্ধকারের মত। এক শ্রেণির লোভী বণিক সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে আজ চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের আশেপাশের বিশাল জায়গা জমি এবং স্থাপনা উন্নয়নের নামে লুটেপুটে খাচ্ছে তারা। অথচ যাদের জায়গা জমির উপর চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠিত তারা আজ অবহেলিত।
তিনি বলেন, সম্প্রতি লালদিয়ার চর এলাকার বিশাল জায়গা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদের পূর্বে তাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এক নিদারুন যন্ত্রণার মরুভূমিতে বসবাস করছে ঐ এলাকার হাজারো অধিবাসী। যা পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতাকেও হার মানিয়েছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই কোনো প্রকার পুনর্বাসন ছাড়া লালদিয়া চরবাসীকে উচ্ছেদ শুধু অমানবিকই নয়, এটা স্বাধীনতার মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। উচ্ছেদ করতে গিয়ে যদি কোনো রক্তক্ষয় কিংবা কোনো মানুষের জীবনহানি হয় তার পরিপূর্ণ দায়দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।