পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নয়

লালদিয়ার চর বাসিন্দাদের দাবি

| শনিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শিগগির উচ্ছেদের উদ্যোগের মধ্যে লালদিয়ার চরের বাসিন্দারা পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা সরকার বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করলে ওই ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, এখানে ভাড়াটিয়ারা থাকে। যৌথ সার্ভে করলে সেটার উত্তর বের হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং প্রয়োজনে আদালতের প্রতিনিধিসহ থেকে সার্ভে করা হোক। এখানে যদি আদি বাসিন্দাদের বাইরে কেউ এসে থাকে তাহলে তা বের হবে। খবর বিডিনিউজের। উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন এই ১৪ হাজার মানুষ পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। গতকাল শুক্রবার সকালে পতেঙ্গার লালদিয়ার চর থেকে বেশ কয়েকটি বাসে করে হাজার খানেক নারী-পুরুষ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হন। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি বলেন, জাতির জনক একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিমান ঘাঁটি সমপ্রসারণের জন্য তিনি এই এলাকার বাসিন্দাদের লালদিয়ার চরে স্থানান্তর করেছিলেন। পুনর্বাসন না হলে এ আন্দোলন এক দফা এক দাবিতে যাবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুল আলম বলেন, রোহিঙাদের আশ্রয় দিয়েছেন আমাদের নেত্রী। তাহলে আমাদের কেন ঠাঁই হবে না? নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, উস্কানিদাতাদের তালিকা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আরশাদুল আলম বাচ্চু বলেন, ১৯৭২ সালে সরকারের নির্দেশে মানুষগুলো এখানে আশ্রয় নিয়েছে।
পতেঙ্গা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আলী বলেন, নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন বন্দর দেশের লাইফ লাইন। এতে আমাদের অবদান আছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পোড়াপাড়ার বাসিন্দারা এখানে আসে। এমনিতে নয়। আমাদের অধিকার আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনাভাইরাসে এক দিনে ১১ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধপ্রচার শেষ, কাল ভোটগ্রহণ