সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙে পড়া কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালী ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের সংযোগস্থল কাঠের সেতুটি অবশেষে ঠিক করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক জনগণের নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে এই কাঠের সেতুটি নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় সম্প্রতি। এতে ভুক্তভোগী ১৩ গ্রামের লাখো মানুষ নতুন করে এই কাঠের সেতু ব্যবহার করে যাতায়াত শুরু করেছেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে ‘সেতুটি ভেঙে ৩২ বছর আগের অবস্থায় ১৩ গ্রামের মানুষ’ শিরোনামে জনদুর্ভোগ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উদ্যোগ নেয়, জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে কাঠের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়ার।
ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী জানান, মাতামুহুরী নদীর শাখা খাল ভরামুহুরী বা বুড়া মাতামুহুরী খালের ওপর ৩২ বছর আগে নির্মিত কাঠের সেতুটিই ছিল কোনাখালী ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। এবারের বন্যায় সেই সেতু ভেঙে পড়ায় বেশ দুর্ভোগে পড়েন যাতায়াতের ক্ষেত্রে। এনিয়ে দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনসহ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অবগত করার পর দুই লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে কাঠের সেতুটি নতুন করে তৈরি করা হয়। এতে জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা দরকার।
স্থানীয় অনেকে দৈনিক আজাদীকে বলেন, এই কাঠের সেতুটি হচ্ছে অস্থায়ী। তাই এখানে দ্রুতই একটি পাকা সেতুর নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণ হলেই এখানকার লাখো মানুষের শত বছরের দুঃখ ঘুচবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সেফায়াত ফারুক চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, কোনাখালী ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবহমান ছড়া খালের ওপর অবশ্যই পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্যাদি সম্পন্ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে– কয়েকমাসের মধ্যেই প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে পজিটিভ ফলাফল আসবে।