নগরীর মনছুরাবাদে শতবর্ষী তিনটি পুকুর ভরাট হলেও জরিমানা হয়েছে মাত্র একটির। গতকাল সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক শুনানি শেষে মনছুরাবাদের খান সাহেব আবদুল হাকিম মিয়া ওয়াকফ এস্টেটের মোতোয়াল্লী লে. কর্ণেল (অব.) ইকবাল শফিকে স্থানীয় গুরা পুকুর ভরাটের অভিযোগে ৮০ হাজার টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী। তবে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় ভরাট হওয়া ২৪ শতক আয়তনের বোমবারি পুকুর ও ১৪ শতক আয়তনের ভাডার পুকুর ভরাটের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক আজাদীতে ‘১৫ দিনে ভরাট হয়েছে তিনটি শতবর্ষী পুকুর, মনছুরাবাদে আরেকটি পুকুর ভরাটের প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুকুর কাটার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় এক ওয়াকফ স্টেটের মোতোয়াল্লী লে. কর্ণেল (অব.) ইকবাল শফিকে নোটিশ দেন পরিবেশের কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার নির্ধারিত দিনে শুনানিতে লে. কর্ণেল (অব.) ইকবাল শফির পক্ষে সামশুল হুদা মজুমদারসহ চারজন শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানি শেষে গুরা পুকুর ভরাটের অভিযোগে মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) প্রদানের আদেশ দেন।
তবে ১৫ দিনের ব্যবধানে তিনটি পুকুর ভরাটের বিষয়টি দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত পরিদর্শন করে শুধুমাত্র একটি পুকুর ভরাটের বিষয়ে প্রতিবেদন দেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী। তিনি গতকাল দুপুরে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে গুরা পুকুর ভরাটের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ গন্ডার ওই পুকুর ভরাটের জন্য ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আরো পুকুর ভরাটের বিষয় থাকলে আমরা পুনরায় পরিদর্শন করবো। প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’