হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন গতকাল মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর ভরাটের দায়ে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে। উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম জানান, বিভিন্ন সূত্রে উপজেলার ১৪ নং শিকারপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে নাজিম উদ্দিনের পুত্র শরিফ আজম পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে জলাধার–পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএস ও আরএস রেকর্ড মতে স্থানটির শ্রেণী পুকুর। সরেজমিন পরিদর্শন করে বাস্তবে পুকুর পাওয়া যায়। স্থানীয়দের তথ্য মতে, পুকুরটি ভরাট করার লক্ষ্যে আনুমানিক ৩ মাস আগে পরিকল্পিতভাবে সেচ যন্ত্র দিয়ে শুকিয়ে ফেলা হয়। গত ৩/৪ দিন ধরে চলে ভরাট কার্যক্রম। অভিযানে অভিযুক্তকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে, আগামী ১ মাসের মধ্যে পুকুরটি খনন করে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়টি তদারকি করার জন্য শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
ইউএনও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুর বা জলাধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানির উৎস হিসেবে জলাধার সংরক্ষণ জরুরি। হাটহাজারীতে আইন অমান্য করে কেউ জলাশয় ভরাট করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।











