চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ৩৮২ কন্টেনার পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। ধ্বংসের তালিকায় রয়েছে-পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল এবং কফি। নগরীর হালিশহর আনন্দবাজারে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং জোনে প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩১ কন্টেনার পণ্য। স্ক্যাভেটর দিয়ে বড় গর্ত তৈরি করে পুঁতে ফেলা হচ্ছে এ সব পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার সন্তোষ সরেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটির বৈঠকে ৩৮২ কন্টেনার নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ২৫-৩০টি কন্টেনারের পণ্য ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমদিনই পরিকল্পনা মতো ৩১টি কন্টেনার ধ্বংস করা হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এ সব কন্টেনারের
জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এ সব কন্টেনার পড়ে থাকে। অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এ সব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এ সব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।