পুঁজিবাজারে লেনদেন আবার ৩০০ কোটির নিচে

| বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

দ্বিতীয় দিনের পতনে দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমতে কমতে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে শেয়ার কেনাবেচায় ভাটা পড়লে গতকাল বুধবার দুই সপ্তাহ পর আবার লেনদেন এ অবস্থানে নেমে যায়। এদিন মোট লেনদেন হয় হয় ২৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে গত ২৯ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৯১ কোটি টাকার।

বুধবার লেনদেন শেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে কমে ৩৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে নেমেছে। আগের দিন সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৮৭৪ পয়েন্টে। গত ২৩ এপ্রিল সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। খবর বিডিনিউজের।

আগের সপ্তাহের বুধবার একদিনে দেড়শত পয়েন্ট হারিয়েছিল সূচক। এর পরের দুই দিনে ১১৯ পয়েন্ট ফিরে পায়। ফের পতন হতে শুরু করলে বুধবারও তা কমে। গত দুই দিনে সূচক কমেছে ৮৬ পয়েন্ট। তবে এদিন সকালের ভাগে লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী ছিল। দুপুরে ১২টার পর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়লে সূচক কমতে শুরু করে।

অধিকাংশ শেয়ারের দর পতনের দিনে হাতবদল বেশি হয় ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড ও খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানির। আগের দিনেও এ খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেনে আসা মোট ৪১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর বাড়ে মাত্র ৬৮টির, কমে ২৯৮টির ও আগের দরে লেনদেন করে ৪৬টি। দিনশেষে মোট লেনদেনের ৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের। এরপর খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৩০ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়।

দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে সিটি জেনারেল ইন্সুইরেন্স, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড ও মাগুরা কমপ্লেক্স। অন্যদিকে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোর শীর্ষে ছিল এনআরবি ব্যাংক, তিতাস গ্যাস ও বিডিওয়েল্ডিং।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসানুল ইসলাম চৌধুরী
পরবর্তী নিবন্ধএনসিটিকে বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর না করার দাবি