পুঁজিবাজারে অস্থিরতা কাটছেই না

চার কর্মদিবসে সূচক কমল ১১৬ পয়েন্ট

| মঙ্গলবার , ৩০ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও কারফিউয়ের প্রভাব থেকে বের হতে পারেনি পুঁজিবাজার। সপ্তাহের দুই কর্মদিবসেই কমল সূচক। দর হারালো সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার। গতকাল সোমবার লেনদেনে শেষে সূচক কমে গেল ৫৩ পয়েন্ট, আগের দিন কমেছিল ৩০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার পর বুধবার ৯৪ পয়েন্ট সূচক হারানোর পর বৃহস্পতিবার সূচকে যোগ হয় ৬২ পয়েন্ট। খবর বিডিনিউজের।

অর্থাৎ কারফিউয়ের মধ্যে চার কর্মদিবসে সূচক কমল ১১৬ পয়েন্ট। টানা দুই দিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। সোমবারও হাতবদল হয়েছে ৪৫০ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার, আগের দিন তা ছিল ৪৮৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার ৪৮৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। তবে দিনের শুরুতে সূচক বেড়েই লেনদেন চলছিল। এক ঘণ্টা পর্যন্ত বজায় ছিল এই প্রবণতা। এরপরই শুরু হয় বিক্রয় চাপ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আবার রাজপথে নেমেছেএমন গুঞ্জন ছড়ানোর পর পতন হতে থাকে সূচকের। এক পর্যায়ে প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে কমে যায় ৬১ পয়েন্ট। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। অর্জিত সব সূচক হারানোর পরে ডিএসই প্রধান সূচক চলে গেল এক মাস আগের অবস্থানে। গত ৩০ জুন ডিএসই সূচক ছিল ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। সোমবার তা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। লেনদেনে আসা ৩৯২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩২টির বা ৮৫ শতাংশের দর কমেছে। বেড়েছে ২৭টির, আগের দিনের দরে লেনদেন শেষ করেছে ৩৩টি কোম্পানি। ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে অন্য দুই সূচকও ঋণাত্মক দেখা গেছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। লেনদেনের শীর্ষে যথারীতি ওষুধ ও রসায়ন খান, মোট লেনদেনের প্রায় ২২ শতাংশই হয়েছে একটি খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাড়ে ১৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও লেনদেন হয়েছে ১৩ শতাংশ। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে অবস্থান যাই হোক না কেন, সব খাতেই প্রায় সব কোম্পানি দর হারিয়ে লেনদেন শেষ করেছে। তবে ব্যাংক খাতের তলানিতে থাকা শেয়ারদর শতকরা হরে কমেছে কমই। টানা চতুর্থ দিন সার্কিট ব্রেকার বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি দর বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ছিল নতুন তালিকাভুক্ত টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠেছে লিব্রা ইনফিউশন, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স ও রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে দর হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল এনার্জি প্যাক পাওয়ার লিমিটেড, ফিনিঙ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও এইচ আর টেঙটাইল। দর হারানোর শীর্ষ তালিকায় সবগুলো কোম্পানিই সার্কিট ব্রেকার ৩ শতাংশের কাছাকাছি দর হারিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেরিতে পোশাক নেবে ক্রেতারা, দিতে হবে না মূল্যছাড়ও : বিজিএমইএ
পরবর্তী নিবন্ধবেনজীরের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলল হাই কোর্ট