বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ভারতে গ্রেফতার পি কে হালদারকে আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার আদালত। একই নির্দেশ কার্যকর হবে পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া তার পাঁচ সহযোগীর ক্ষেত্রেও। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদার, দুই ভাগ্নে স্বপন ও উত্তম মৈত্র, বান্ধবী শারমিন হালদার এবং তাদের সহযোগী ইমাম হোসেনকে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে তোলা হয়।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী দেরিতে এজলাসে প্রবেশের কারণে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের ৫ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজেতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তবে পি কে হালদারকে জেরা করে এবার আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পি কে হালদার পরিকল্পনা করে স্থানীয়দের নামে বহু সম্পদ কিনেছিলেন।
বেনামে প্রায় ১৮টি বাড়ির হদিস পাওয়া গেছে। এমনকি নগদ ৮০ লাখ টাকারও সন্ধান মিলেছে। পি কে হালদারকে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করেছে তার ভাই প্রাণেশ হালদার। সে কারণেই দুই দফায় তার জামিন আবেদন করা হলেও ইডির আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেন।