চকরিয়ার বিএমচরে রাতের আঁধারে পেঁপে গাছ কেটে ফেলার পর চোখেমুখে অন্ধকার দেখা সেই নারী খুরশিদার পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউএনও জেপি দেওয়ান। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
এদিকে একইসময়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পিস ফাইন্ডার’ এর উদ্যোগে বিভিন্ন ফলদ গাছের চারা তুলে দেওয়া হয় ওই নারীকে। পরে সেই চারাগুলো রোপণও করে দেওয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও সরেজমিন দেখতে যান পরিবারটিকে।
ক্ষতিগ্রস্ত খুরশিদা বেগমের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি পিস ফাইন্ডারের প্রতিষ্ঠাতা সমাজকর্মী আদনান রামীম। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই দুর্বৃত্তরা খুরশিদার বাগানের ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে ফেলে সম্প্রতি। যে বাগানের ওপরই নির্ভরশীল ছিল অসুস্থ স্বামী শফর মল্লুকের চিকিৎসাসহ যাবতীয় সাংসারিক খরচ। তাই আজ আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফলদ ১২০টি গাছের চারা খুরশিদার বাগানে রোপণ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে পরিবারটি প্রতি। এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, এমন অমানবিক কাজ মানুষ এখনো করতে পারে, তা ভাবনাতেই আসে না। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসলে আজ (গতকাল) সরেজমিন পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত বাগান পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটির সচ্ছলতায় কিছু একটা করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি যেসব দুর্বৃত্ত এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। ইউএনও বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পিস ফাইন্ডার পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোয় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর ভোররাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিএমচর ইউনিয়নের বাক্কুমপাড়ার শয্যাশায়ী দিনমজুর শফর মল্লুক ও খুরশিদা বেগম দম্পতির ফলদ বাগানের অন্তত ৪০টি ফলন্ত পেঁপে গাছ নির্দয়ভাবে কেটে ফেলে। এ নিয়ে পরদিন দৈনিক আজাদীতে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।












