পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু কাজ শেষ ডিসেম্বরে

যানজট-নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামের লাইফলাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুণ কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটারের মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে। প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন। সেসময় তিনি নির্মাণকাজ চলাচলে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা অন্তর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাগরিকা মোড় হতে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। জাইকার অর্থায়নে এই কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্সের অধীনে চলমান এই কার্পোটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।
এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থা্‌নীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পার্কিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তাই সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্পোরেশনও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে। সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোন ধরনের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন চুল পরিমাণও ছাড় দিবে না। এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেষ দফায় চার হাজার টেক্সি স্ক্র্যাপ করছে বিআরটিএ
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরের ক্রেন কেনায় চার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার দাখিল