পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত, পুনঃতদন্তের নির্দেশ

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত। প্রয়োজন না থাকায় উক্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাবুলের নারাজি আবেদনটিও নাকচ করে দেয়া হয়েছে। একপর্যায়ে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার দুপুরে পূর্ব নির্ধারিত ধার্য দিনে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র ও বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিবিআই নাকি অন্য কোনো সংস্থা পুনঃতদন্ত করবে এমন প্রশ্নে শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, পিবিআই-ই পুনঃতদন্ত করবে। তবে অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে যাতে পুনঃতদন্ত করা হয়, সে জন্য আদালতের কাছে আমরা আগামী সপ্তাহে একটি দরখাস্ত দিব। এদিকে একই ঘটনায় মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা অপর মামলাটির কী হবে! সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটিও চলবে। যদিও মামলাটি অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আদালতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত না হওয়ার আগে তারা আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। এটির ফলে আইনের স্বাভাবিক পর্যায়ে বেঘাত ঘটবে। সাধারণ মানুষ এটিকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে একটি ঘটনায় কয়েকটি মামলা রুজু করবে।
এ বিষয়ে মানবাধীকার কর্মী ও সিনিয়র আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান আজাদীকে বলেন, বাবুলের করা মামলাটি শেষ না হতেই এ মামলাটি করা হয়েছে। যেখানে বাবুলসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। স্পষ্টই এটি খারাপ নজির। এ মামলাটির প্রয়োজন ছিল না। বাবুলের অপরাধ প্রমাণিত হলে তার করা মামলাটিতে তার বিচারের সুযোগ রয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে জানতে চাইলে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুনঃতদন্তের কাজটি যদি পিবিআই করেন, তারা আগের মতো চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। চার্জশিট তো আর দিবেন না। সেক্ষেত্রে মামলাটির ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে। তারা তো আর রাতারাতি তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করবেন না। বক্তব্য পরিবর্তন করবে এমন আশা করা বুকামি হবে।
চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর স্ত্রী মিতু খুনে বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশনটি দাখিল করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। ২৭ অক্টোবর উক্ত নারাজি পিটিশন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থ্যা দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। একপর্যায়ে আদালত এ বিষয়ের উপর আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএনএ’র অভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়ে চসিকের সাবেক প্রশাসক সুজনের বক্তব্য
পরবর্তী নিবন্ধউচ্চ ভোল্টেজের তার ছুঁই ছুঁই গাছের ডালপালা