অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চার্জগঠন পিছিয়েছে। আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। আগামী ৬ ডিসেম্বর চার্জগঠনের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রদীপের পক্ষে একটি জামিন আবেদনও ছিল। তবে সে বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী ধার্য তারিখে এটির ওপরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত ৭ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে প্রদীপ-চুমকির এ মামলা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করা হয়।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। তারও আগে গত ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। যেখানে ২৯ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩,১৩,১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। ৩,৯৫,০৫,৬৩৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন। উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ দখলে রেখেছেন।